প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩, ৯:৫৬ অপরাহ্ন

নিজের সঙ্গে হওয়া পুলিশের আচরণকে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হওয়া আচরণের মতো তুলনা করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ সদস্যরা আমাকে সময়মতো পানিও দেননি।
শনিবার (১৮ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ও কারাগারে যাওয়ার পর জামিন পান মাহি। রাতে ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে স্বজদের হাতে তুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ারুল করিম।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহি বলেন, ‘আমার সঙ্গে জেলা কারাগারের কর্মী ও বন্দিরা ভালো ব্যবহার করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা মানুষ। তারা জানেন কীভাবে একজন প্রেগন্যান্ট নারীকে সম্মান দিতে হয়। তবে ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে কারাগারে নেয়া পুলিশ সদস্যরা আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, মনে হয়েছে আমি যুদ্ধাপরাধী। আমাকে এক বোতল পানি দিতেও তারা এক ঘণ্টার বেশি সময় নিয়েছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের জমি দখলের বিষয়ে অভিযোগ দিতে গেলে কোনো সহায়তা করেননি। উল্টো তিনি আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিরোধী পক্ষের হয়ে তিনি আমাদের জায়গা দখলে সহায়তা করতে চেয়েছেন। নয়তো তিনি আমাদের জিডি গ্রহণ করতেন, বা সঠিক তদন্তের ব্যবস্থা করতেন।’
এসময় মাহি তাদের গাড়ির শো রুমের কর্মীদের ধরে নেয়া সহ স্বজনদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি একজন পুলিশ কমিশনার। তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’
এর আগে বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন মাহির জামিন মঞ্জুর করেন। মাহির আইনজীবী জানান, প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে স্বামী রকিব সরকারের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন। লাইভে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেয়ার অভিযোগ তোলেন মাহি। পরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।
জ/আ