রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
 

বিমানের হজ বাণিজ্য!
স্বেচ্ছাচারিতার শেষ কোথায়
খালেদ মাহমুদ রকি
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩, ৪:৪৭ অপরাহ্ন

ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের খরচ প্রায় দ্বিগুণ
সাধারণ সময়ে ট্যুরিস্টদের জন্য সৌদি আরবে যেতে ভাড়া ৬০ হাজার টাকা, ওমরাহ পালনে ৯৩ হাজার এবার হজ যাত্রীর জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা
ভাড়া কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ বিমান কর্তৃপক্ষের না

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ বাণিজ্য ও ভাড়ার নৈরাজ্য থামছেই না। দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ আনলেও ফল হয়না। চলতি বছরে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে বিমান ভাড়া নিয়ে আলোচনা থামছেই না। এ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বাংলাদেশ বিমানকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিমানের ভাড়া আর কমানো সম্ভব না। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সৌদি-বাংলাদেশ বিমান রুটে ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। এরমধ্যে সাধারণ সময়ে ট্যুরিস্টদের জন্য সৌদি আরবের ভাড়া নেয়া হয় ৬০ হাজার টাকা, ওমরাহ পালনের সময় নেয়া হয় ৯৩ হাজার টাকা, এবার সরকার হজ যাত্রীর জন্য বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমান ভাড়া বেশি দেখিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, একই বিমানে ভাড়ার পার্থক্য নৈরাজ্য ছাড়া আর কী হতে পারে। 

রবিউল ইসলাম নামে একজন হজযাত্রী দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, দিনকে দিন বাংলাদেশ বিমানের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করেও ফল হয়নি। তিনি বলেন, হজযাত্রীদের জন্য সরকার সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। অথচ এয়রালাইন্সের সংখ্যা বাড়লে প্রতিযোগিতার কারনে ভাড়াও কমতো। এছাড়াও হজযাত্রীদের জন্য এয়ারলাইন্স উন্মুক্ত করে দিলেও সংকট থাকতো না। যে কোনো এয়ারলাইন্সে যাত্রীরা অর্ধেকেরও কম ভাড়ায় হজে যেতে পারতেন। আমাদের আশপাশের দেশের তুলনায় এবার আমাদের হজের খরচ প্রায় দ্বি-গুণ করা হয়েছে। এটাকে স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কী বলতে পারি?

এদিকে সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন। এ বিষয়ে স্মারক জারি করে মন্ত্রণালয়। এতে বিমান ভাড়া দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি নোটিশ পাঠান। 

নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ-সৌদি-বাংলাদেশ রুটে প্লেন ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি বছর দুই দেশের সরকার হজ যাত্রীদেরকে সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে টিকেট কিনতে হজ যাত্রীদের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়। এসব কারণ সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে নোটিশে অনুরোধ করা হয়, চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ-২০২৩ সংশোধন, পরিবর্তন এবং পুনর্নির্ধারণ করতে বলা হয়। সাত দিনের মধ্যে করতে ব্যর্থ হলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত ১২ মার্চ হজের খরচ কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ্-জামান।রিটে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকিটে হজে যাওয়ার অনুমতি দিতে নির্দেশনা চান তিনি। 

১৫ মার্চ হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে হজ প্যাকেজের মূল্য কমানোর বিষয়টি সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসময় খরচ সহনীয় পর্যায়ে আনা যায় কি-না সেটি বিবেচনার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি বছরে হজ প্যাকেজের দাম বাড়ানোর বিষয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চকে ব্যাখ্যা দিয়েছে। 

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডলারের দাম ও বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া এবং মোয়াল্লেম ফি বাড়ায় হজ প্যাকেজের দাম বাড়ানো হয়েছে। আগের দিন ১৪ মার্চ চলতি মৌসুমে ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষিত হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। 

আদালত বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বাজেট রাখে; কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। হজের প্যাকেজমূল্য অনেক বেশি হওয়ায় আমরাই হজে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আর সেখানে গরিব মানুষ কীভাবে যাবে।’

অপরদিকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (এটিএবি) জানিয়েছে, হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া।হাব ও এটিএবি নেতারা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত মুনাফা করতে ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে। 

গত বছরের তুলনায় এবার সরকারি ও বেসরকারি উভয় হজ ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজে খরচ বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এটিএবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ বছরে বিমান প্রায় ৭০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে।২০১৭ সালে এই ভাড়া ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা করে, ২০২০ সালে ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, ২০২২ সালে ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। করোনার কারণে ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যাননি। এ বছর বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর বিমান ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

উচ্চ ভাড়া নেয়ার বিষয়ে বিমান বরাবরই যুক্তি দেখায়, প্রায় খালি উড়োজাহাজ নিয়ে সৌদি আরব থেকে তাদের ঢাকায় আসতে হয়। তাই তারা অতিরিক্ত ভাড়া নেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। ফ্লাইট খালি এলে ভাড়া দ্বিগুণ করার দরকার নেই। কারণ ফ্লাইট খালি এলে হ্যান্ডলিং খরচ অনেক কমে যায়। যখন একটি ফ্লাইট কোনো যাত্রী বা লাগেজ ছাড়া খালি আসে, তখন তেল খরচ কমে যায়। এছাড়া, কোনো করও দিতে হয় না। কাজেই এই যুক্তিতে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া অযৌক্তিক। 

এদিকে বাংলাদেশ ছাড়াও মুসলিম প্রধান দেশগুলো সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সামর্থ্যবান মুসলমানরা হজ পালন করতে সৌদি আরব যান। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হজযাত্রার খরচ কত পড়ে, এ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে ডয়চে ভেলে।  এতে এশিয়ার কয়েকটি দেশের হজে যাওয়ার খরচ তুলে ধরা হয়েছে। 

আনন্দবাজার পত্রিকা ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজে যেতে জনপ্রতি খরচ হয়েছিল প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি টাকা। তবে ওই সময় পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটি ২০২১ সালের হজের খরচ অনেক বাড়িয়ে চার লাখ ২৩ হাজার ৫৭১ টাকা নির্ধারণ করেছিল। আর এবছর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত খরচের হিসাব জানানো হয়নি। ২০১৮ সালে ভারতে হজ ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশটিতে এখনও হজের চ‚ড়ান্ত খরচ জানানো হয়নি। 

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ উমর বাট জানান, এবার জনপ্রতি খরচ তিন লাখ ১১ হাজার ৭৪২ বাংলাদেশি টাকা থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি টাকা হতে পারে। এ বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে হজে যেতে একজন মুসল্লিকে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ বাংলাদেশি টাকা (৩,৯৮,৮৬,০০৯ ইন্দোনেশীয় রুপি) দিতে হবে বলে গত ১৪ এপ্রিল জানান দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত ছলিল। যদিও মুসল্লি প্রতি খরচ হবে চার লাখ ৮৮ হাজার ২৬০ টাকা। বাকি টাকাটা ‘হজ ফাণ্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ বা বিপিকেএইচ এর মাধ্যমে ভর্তুকি হিসেবে দেবে সরকার। 

মালেশিয়ায় গত ২২ এপ্রিল হজে যাওয়ার খরচ ঘোষণা করা হয়। বি৪০ গ্রুপের (যে পরিবারের মাসিক আয় সাড়ে ৯৬ হাজার টাকার কম) মুসল্লিদের জন্য খরচ দুই লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যাদের আয় বেশি তাদের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা। 

শেটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ধর্ম বিভাগের মন্ত্রী ইদ্রিস আহমাদ সমপ্রতি জানান, প্রতিবছর হজ ভর্তুকি হিসেবে সরকার প্রায় ছয়শ থেকে আটশ কোটি টাকা খরচ করে থাকে। চলতি বছরে খরচ বাড়ায়চতুর্থবারের মতো হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল সরকার। বৃহস্পতিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। কোটা পূরণ না হওয়ায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যারা এখনো পাসপোর্ট পাননি এটি তাদের জন্য অনন্য সুযোগ। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আর আগামী ২১ মার্চ হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুতকৃত ভাউচার অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে বাংলাদেশের সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই। ফলে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই গুণতে হবে হজ যাত্রীদের।

এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, হজযাত্রীদের পরিসেবার জন্য এয়ারলাইন্স নির্ধারণ করে থাকে সৌদি সরকার। তবে দেশের অন্য কোনো এয়ারলাইন্স যদি আমাদেরকে কোটেশন দেয় তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। 

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের। আমরা ভাড়া কমাতে অনুরোধ করেছি কিন্তু সেটি রক্ষা করা হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জবাবদিহির পক্ষ থেকে ফোন করে ও এসএমএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বলেছেন, ১৫ মার্চ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হজের বিমান ভাড়া দেড় লাখ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টিকে ‘মিথ্যা’।

তিনি বলেন, ওই বৈঠকে আমিও ছিলাম। সেখানে আলোচনা হয়েছে হজ প্যাকেজের খরচ কমানোর সুযোগ আছে কি না, ভাড়া কমানোর সুযোগ আছে কি না, হজযাত্রীদের আরও কিছু কমফোর্ট (ছাড়) দেয়া যায় কি না ইত্যাদি। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে দেড় লাখ বা এ ধরনের কোনো শব্দ উচ্চারণ বা সুপারিশ করা হয়নি। 

তিনি বলেন, ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ১০৬ টাকা ধরে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে যদি ডলারের দাম বাড়ে আমাদের ভাড়া আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই নিতে হবে।

জ/আ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  হজ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft