প্রকাশ: শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ২:৩৮ অপরাহ্ন

চাল , ডাল,আটা, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পরেছে মানুষ।আয়ের তুলনায় ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ সাংসারিক ব্যায় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ।
তারা যে আয় করছে তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে । আর এ কারনেই মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ প্রতিদিন যাচ্ছে ও এম এস এর দোকান ও ট্রেডিং করপোরেশনঅব বাংলাদেশ (টিসিবি ) কেন্দ্র গুলিতে । টিসিবির পণ্য শুধুমাত্র কার্ডধারীদের দেয়া হয় ।
এছাড়াও ও এম এস পন্য সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও যে পরিমান চাল আটা সরবরাহ করা হয় তা চাহিদার তুলনায় কম বলে জানা গেছে । এতে করে অনেকেই পন্য না পেয়ে ফিরে যাওয়ার অভিযোগও শোনা যায় ।
প্রতিটি কেন্দ্রে পণ্য দেয়ার আগেই ভোর হতে গ্রাহকদের ভীড় পরিলক্ষিত হয় । কে কার আগে আসবে তা নিয়ে হয় প্রতিযোগীতা । আবার লাইনে দাড়িয়ে দীর্ঘ সময় পার করতে হয় ।
এ অবস্থায় টিসিবির কার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ও এম এস এর খাদ্য সরবরাহের বৃদ্ধির দাবী জানান এই সব স্বল্প আয়ের মানুষেরা । আটা নিতে আসা মিরপুর মহল্লার অবিরন বেওয়া জানান বাজারে এখন খোলা আটা ৫৫/৬০ টাকা কেজি ।
এত দামের আটা আমাদের মতো গরীব মানুষের কিনে খাওয়া সম্ভব না তাই এখানে এসেছি আটা নিতে । চররায় পুর মহল্লার কালু জানান জিনিষ পত্রে দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের মত গরীব মানুষের জন্য সংসার চালানো কঠিন হয়ে পরেছে ।
তাই ও এম এস এর আটা দিলে আটা নেই আবার যখন চাল দেয় তাও নেই । তিনি জানান সরকার কম দামে চাল আটা না দিলে আমাদের মত গরীদের অবস্থা যে কি হতো তা আল্লাহই জানেন ।
সিরাজগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন প্রতিটি ও এম এস কেন্দ্রে ১ টন চাল অথবা ১ টন আটা সরবরাহ করা হচ্ছে । প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে ।
প্রতি জনকে সর্বচ্চ ৫ কেজি করে চাল বা আটা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান । তিনি আরো জানান ক্রেতাদের ভীড় বাড়ায় অনেক সময় ৫ কেজির কাছে সর্বনিম্ন ৩ কেজি চাল, আটা দেয়ার নিদেশৃনা দেয়া হয়েছে । যাতে কেউ ফেরত না যায় ।