প্রকাশ: শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২১ অপরাহ্ন
যশোর থেকে পর্যটনবাহী বাসে মোংলায় চলে এসেছে একটি হনুমান। ভোর সোয়া ৬টার দিকে হনুমানটি ওই বাসটির ছাদ থেকে নেমে ঘুরাফেরা শুরু করে মোংলা বন্দরের পিকনিক কর্ণারে।
সেখানে হনুমানটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীসহ আশপাশের দোকানপাটের লোকজন ও পথচারীরা। এদিকে হনুমানটি উদ্ধার করে যশোর ফেরত পাঠাতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক জনকণ্ঠের স্থানীয় প্রতিনিধি আহসান হাবিব হাসান জানান, ব্যবসায়ীক কাজে শনিবার ভোর ৬টার দিকে স্থায়ী বন্দর এলাকার পিকনিক কর্ণারে যাই আমি।
সেখানে গিয়ে দেখি সোয়া ৬টার দিকে যশোর থেকে আসা একটি পর্যটনবাহী বাস পিননিক কর্ণারে থামে। এরপরই ওই বাসটির ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে নেমে আসে একটি হনুমান।
তখন ওই হনুমানটিকে আমি কয়েকটি কলা কিনেও খাইয়েছি। তবে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা ওই বাসটির পর্যটকেরা ও ড্রাইভার হেলপারাও জানতেন না কিংবা দেখেননি যে গাড়ীর ছাদে হনুমান রয়েছে।
হনুমানটি ওই গাড়ীর ছাদ থেকে নেমে পিননিক কর্ণার এলাকার ঘুরাঘুরি করছে। আর হনুমানটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
সাংবাদিক হাসান আরো বলেন, হনুমানটির যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় ও উদ্ধার করে তার বিচরণ এলাকায় ফিরেয়ে দেয়ার জন্য বনবিভাগকে জানিয়েছি।
যদিও হনুমানটি বন্যপ্রাণীর প্রজাতির নয়, লোকালয়ে বিচরণ করে থাকে, তাই এটিকে উদ্ধার করে যশোর ফেরত পাঠানোর জন্য বনবিভাগ খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানিয়েছেন।
তারাই এটিকে উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, যশোর থেকে একটি হনুমান মোংলায় চলে আসার খবর পেয়ে বিষয়টি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনাকে অবহিত করা হয়েছে।
তাদের দক্ষ কর্মীদের দিয়েই এটি উদ্ধার করে যথাস্থানে ফেরত পাঠানো হবে। কারণ এখানে থাকলে হনুমানটির ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
বনবিভাগের খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, আপাততঃ হনুমানটিকে সেখানে স্থানীয় লোকজন যাতে কোনভাবেই উত্যক্ত না করে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। আমরা সেটিকে উদ্ধার করে তার আবাসস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।