বুধবার ৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৯ আশ্বিন ১৪৩০
 

ড. ইউনূস দুদকে যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার    ইরানে এবার নীতি পুলিশের নির্যাতনে স্কুলছাত্রী কোমায়    সাকিবকে পাকিস্তানের অধিনায়ক বানিয়ে দিল আইসিসি!    খালেদাকে বিদেশে পাঠানো আদালতের বিষয় : আইনমন্ত্রী    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা নভেম্বরে    রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী     ভোটের মাঠে নয়া সমীকরণ, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চায় বিএনএম   
বাজারে পাওয়া অনেক চালই মিল-কারখানায় বানানো
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:০৯ অপরাহ্ন

মোটা-সরুর পার্থক্যের কারণে একই নামের চাল বিক্রি হয় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে। এর মধ্যে আবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুধু মিনিকেট নয়, নাজিরশাইলসহ বাজারে পাওয়া অনেক চালের ধানই চাষ হয় না ক্ষেতে। বিশেষ স্বার্থে এসব চাল ছাটাই করে বানানো হয় মিল-কারখানায়।

কৃষি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. সদরুল আমিন বলেন, শুধু চালের মুখটাকে চিকন করে আরেকটা বানানোই নয়, দেশে চাষ করা হাইব্রিড চালকেও ঘষামাজা করা হয়। তারপর সেটাকে মিনিকেট বলে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া নাজিরশাইলসহ এমন আরও অনেক নাম আছে, যেগুলোর নামে কোনো চাল নেই। এসব নাম ব্যবসায়ীদের দেয়া।

বাজারে মোটা দামে সরু যে নাজিরশাইল চাল দেখা যায়, তার আসলেই কোনো জাত নেই। এমন দাবি করে একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান বলছে, ভোক্তার চাহিদা পূরণে বিশেষ কায়দায় পেট সাদা এই চাল বানানো হয় মিলে। তবে তাদের দাবি, দেশের উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ হয় মিনিকেট নামে সবচেয়ে বিতর্কিত চালের ধান।

প্রাণ গ্রুপের অপারেশন ম্যানেজার মো. নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, মোটা চাল কেটে চিকন করার কোনো মেশিন এখনো উদ্ভাবিত হয়নি। বাংলাদেশ রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত যে ধানগুলো আছে, সেখানে মিনিকেট কোনো উদ্ভাবিত জাত নয়। সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোর থেকে শুরু করে দিনাজপুর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সব জেলায় মিনিকেট ধান চাষ হয়। ভোক্তা যেমন পণ্য চায়, বাজারে তেমন পণ্যই থাকবে।

প্রাণ গ্রুপের এসসিএম সিনিয়র ম্যানেজার খন্দকার কামরুল ইসলাম বলেন, নাজিরশাইল কোনো ধানের জাত নয়। এটা ব্র্যান্ড নেম। স্বর্ণা ফাইভ, মিনিকেট, কাটারি, চিনিগুঁড়া সবকিছু থেকে নাজিরশাইল বানানো সম্ভব।

চালের এই নাম বিতর্কের অবসান হোক দ্রুত, এমনটাই চায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কারণ, শুধু নামের কারণে যেন বেশি দামে কিনতে না হয় কম দামের চাল।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘নাম দিয়েই চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আগে আমরা বলতাম, নামে কী আসে যায়। কিন্তু এখন দেখছি, নামে অনেক কিছুই আসে যায়। এ বিষয়টি আসলে সমাধান করা দরকার।’

ঠিক কতদিনে শেষ হবে ধান-চালের এই বিতর্ক, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এই বাজার বিতর্কে এটা বোঝা গেল– কী নামে কোন মানের আর কত দামের চাল বাজারে চান ক্রেতারা, তার একটি বড় অংশই আসলে নির্ধারণ করে দেন স্বয়ং তারাই।


-জ/অ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft