শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
 

যে কারণে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা    রোববার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান    যুদ্ধ নয়, আলোচনায় যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী    মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি    কাতার-বাংলাদেশের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই    ৩২ টাকা কেজিতে ধান, ৪৫ টাকায় চাল কিনবে সরকার    মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত   
আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২, ১২:০৮ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে বুধবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় এক হাজার ১৫০ এবং আহতের সংখ্যা এক হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের খাবার নেই, আশ্রয় নেই এবং এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। 

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, এক হাজারেরও বেশি সংখ্যক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও বেশকিছু মানুষ আটকা পড়ে থাকায় নিহত ও আহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বাখতার নিউজ এজেন্সির মহাপরিচালক আবদুল ওয়াহিদ রায়ান এই তথ্য দিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

আবদুল ওয়াহিদ রায়ান বলেন, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আঘাত হানা ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার ৬০০ মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৮০০টির মতো বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে।

আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষতি পর্যালোচনা করে ত্রাণ বিতরণ করছে। কিন্তু দেশটি ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে রয়েছে।

হতাহতদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে জাতিসংঘও। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আনাদলু এজেন্সি জানিয়েছে- ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, কাতার ও ইরান থেকে মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বিপর্যস্ত পাকতিকা প্রদেশ। 

স্থানীয় কর্মকর্তা ও পাকতিকার বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তারা এ ঘটনায় তাদের সব সহায়-সম্পদ হারিয়েছে।

এক তালেবান কর্মকর্তারা বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। সবচেয়ে জরুরি যে প্রয়োজন তা হচ্ছে গৃহহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার পরিবারের আশ্রয়। 

আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা এবং ত্রাণ বিতরণ করছে। কিন্তু সংকটটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন দেশটি ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে রয়েছে।

একজন বাসিন্দা বলেন, লোকেদের তাঁবু ও খাবার নেই, লোকেরা বাইরে বাস করছে। তাদের সবকিছু দরকার।

বুধবারের ভূমিকম্প পাকতিকা প্রদেশের গিয়ান, বারমাল এবং জিরুক জেলার মানুষের জীবনকে ব্যাহত করেছে।


-জ/অ










« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft