![]() |
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায়
তিতাসে যথা নথি থাকার পরও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে
তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন না সংযোগ বৈধ্য নাকি অবৈধ্য
|
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় অবৈধ্য গ্যাস উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।ফলে ভোগান্তিতে পরেছে প্রায় ৮০০-র অধিক পরিবার। বুধবার (২২) সকালে পূর্ব কোনো ঘোষনা ছাড়াই এ অভিযান চালানো হয়। গ্যাস গ্রাহক দেলোয়ার গাজী জানান, আমাদের এখানে যখন গ্যাস লাইন আনা হয়,তখন সব ধরণের নিয়ম কানুন মেনেই আমাদের গ্যাস লাইন আনা হয়। আমরা ব্যাংকে ব্যাংক ড্রাপ করেছি। আমাদের গ্যাস বই আছে আমরা ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত গ্যাস বিল প্রদান করে আসছি। তারপরও গ্যাস লাইনচ্যুত করা হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযান কি কারণে চালানো হচ্ছে এ বিষয়ে তিতাস উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ.টি. এম মোর্শেদের সাথে দূরালাপনে যোগাযোগ করা হলে, ওনি জানান, অভিযান জালানো হচ্ছে কিন্তু কি কারণে অভিযান চালানো হচ্ছে তা আমি জানি না। যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা নৌশেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা খোঁজ পেয়েছি এখানে অবৈধ্য গ্যাস সংযোগ আছে এর কারণে এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। গ্রাহকদের সবারই তো গ্যাস বই আছে। তাহলে আপনারা এই লাইনগুলোকে অবৈধ্য বলছেন কিভাবে? এরকম জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এই প্রশ্নের জবাব বাখরাবাদ গ্যাস দিবে। আমাদের কাজ অবৈধ্য সংযোগ বিচ্ছেদ করা, আমরা তাই করছি। আপনি তো জানেনই না যে এটা বৈধ্য নাকি অবৈধ্য তাহলে কিসের ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে? এমন প্রশ্নে তিনি ফোন কেটে দেয়। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো কোনো প্রকার সারা পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তিতাস উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের কিছু অসাধু ব্যাক্তির গ্রামের মানুষদের অবৈধ্য গ্যাস সংযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে গ্রামের কিছু মানুষ রাজিও হয়, ফলে গ্রামে অবৈধ্য কিছু সংযোগ আছে বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ এই অবৈধ লাইন সংযোগে বাধা দিলে অসাধু চক্রটি তাদের উপর নানাভাবে চড়াও হয়। ফলে তারাও কিছু করতে পারেনি। উক্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ বলছে এই অবৈধ সংযোগগুলো আসার কারণেই তাদের বিপক্ষে এক গ্রুপ নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবৈধ সংযোগের অভিযোগ করেন এবং তার ভূক্তভোগী হচ্ছেন শত-শত সাধারণ পরিবার। উল্লেখঃ দেশে গ্যাস সংকটের প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এর পর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও আবাসিকের সংযোগ চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের পর আবারও জ্বালানি বিভাগ থেকে অলিখিতভাবে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গত আট বছরে তিতাসসহ অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে ডিমান্ড নোটের টাকা জমা নিয়েছে। ফলে এ সময়ের মধ্যে ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেওয়া গ্রাহকদের টাকা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে। জ/ আল
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |