প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২, ৮:৪৩ অপরাহ্ন
আস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটের আগেই পদত্যাগ করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান- এমন শংকা করছেন অনেকেই। দেশটির সেনাপ্রধান এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের সাথে সাক্ষাতের পর বাতিল করা হয়েছে ইমরান খানের পূর্বনির্ধারিত ভাষণও।
মঙ্গলবার দু'দফায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে আলোচনা করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং আইএসআই প্রধান। এরপর তেহরিক ই ইনসাফের টুইটে তার বুধবারের ভাষণ বাতিলের কথা জানানো হয়। অনাস্থা ভোটের আগে অন্যতম জোটসঙ্গী মোত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিপদ আরও বেড়েছে।
দেশটির জিওটিভি বলছে, দলটি বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ায় একশ' ৯৯- একশ' ৪২ ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন ইমরান। অথচ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে প্রয়োজন একশ' ৭২ ভোট। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে গত সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীরা। এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয় পার্লামেন্ট অধিবেশন। প্রস্তাবের ওপর বিতর্কের পর আগামী ৩ এপ্রিল হতে পারে ভোটাভুটি।
ইমরান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তাঁর সরকারের মেয়াদ রয়েছে। তবে অনাস্থা ভোটে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁর সরকারের পতন হতে পারে। পাকিস্তানে স্বাধীনতার পর দেশটির কোনো সরকার তার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরানের ভাগ্যেও তেমনটা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।