পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ আলু বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবল শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম, হুমকীর মুখে আলু বীজ উৎপাদন।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু বীজ উৎপাদন কেন্দ্র দেবীগঞ্জ আলু বীজ উৎপাদন কেন্দ্রটি পৌর সদরে দেবীগঞ্জ-ডোমার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এই বীজ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে উন্নত জাত ও মানের আলু বীজ উৎপাদনের পাশাপাশি কাসাভা, মিষ্টি আলু, সূর্যমুখী ফুল, সরিষা, তিল ও সয়াবিন আবাদ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ একর জমিতে বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে বারি আলু ২৫, ২৮,২৯, ৩৫,৩৬,৩৭,৪০, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৭,৪৮,৫৪,৬২ জাতের আলু আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৮০০-৮৫০ টন আলু উৎপাদন হবে বলে ধারনা করছে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন দেবীগঞ্জ শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই ফার্মে বর্তমানে নিয়মিত শ্রমিক ১৩৭ জন এবং ১২৯ জন অনিয়মিত শ্রমিক কাজে নিয়োজিত আছেন যা পর্যাপ্ত নয়। একারণে ফার্মের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সময়মতো ও যথাযথ ভাবে আলু ক্ষেত পরিচর্যা সম্ভব হচ্ছে না। কমপক্ষে আরও ২ শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ করলে আলু বীজ উৎপাদনের কার্যক্রম সূষ্ঠ ও স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হতো।
শ্রমিক ও জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে ফার্ম কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ফার্মে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, অফিস সহায়ক, মালি, ড্রাইভার ও ইলেকট্রিশিয়ান পদে জনবল ঘাটতি রয়েছে। ফলে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সমুক্ষীন হতে হচ্ছে এবং অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে।
জনবল সংকটের কারন হিসেবে উল্লেখ করে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস জানান, শ্রমিক ও স্টাফ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কারনে এই জনবল সংকট রয়েছে। ইতিমধ্যে শ্রমিক ও জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে। তিনি আরও জানান শ্রমিক সংকট নিরসন ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে।