প্রকাশ: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:১৭ অপরাহ্ন
সিরিয়ার উন্নত অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংসে বিমান হামলার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে দেশটিতে মাঠ পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন থাকবে বলেও জানিয়েছে তেল আবিব। তবে এই সেনার সংখ্যা সীমিত হবে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর উদ্ভূত যেকোনো হুমকি ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা বলে দাবি করেছে তেল আবিব।
ইরানের মিত্র আসাদের পতনের জেরে সিরিয়ায় যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ইসরায়েল আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি উদ্বিগ্নও। কারণ এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক বছরের সবচেয়ে বড় কৌশলগত পরিবর্তনের পরিণতি নিয়ে চিন্তিত ইহুদিপ্রধান দেশটি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, সেনাবাহিনী সিরিয়াজুড়ে ভারী কৌশলগত অস্ত্র ধ্বংস করবে। যার মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, দীর্ঘ-পাল্লার রকেট ও সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র।
একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, সামনের দিনে সিরিয়ায় বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সায়ার বলেছেন, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে আগ্রহী নয় ইসরায়েল। কেবল নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতেই মনোযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কারণেই আমরা কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা যেমন অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেটগুলোর ওপর হামলা চালাই, যাতে সেগুলো উগ্রপন্থীদের হাতে না পড়ে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী ইতিমধ্যে অধিকৃত গোলান মালভূমি এবং সিরিয়ার সীমানার মধ্যে একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল বরাবর ল্যান্ডমাইন পরিষ্কার করেছে এবং নতুন দেয়াল স্থাপন করেছে।
রোববার সকালে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েল ও সিরিয়ার বাফার জোনে স্থল বাহিনী পাঠিয়েছে। পরে সোমবার সিরিয়ার মাউন্ট হারমন এলাকায় ইসরায়েলি কমান্ডোদের ছবি প্রকাশ করে তারা।
সায়ার বলেন, ইসরায়েলি সেনা উপস্থিতি খুবই সীমিত। মূলত এটি আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি, কখনো কয়েকশ মিটার, কখনো এক মাইল বা দুই মাইল দূরত্বে। এটি খুব সীমিত ও অস্থায়ী পদক্ষেপ। আমরা নিজেদের নিরাপত্তার কারণে এটি নিয়েছি।