মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে। সোমবার ভারতের জিডিপি তথ্য প্রকাশের পর রুপির ০.২৫% পতন ঘটে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন।
মঙ্গলবার ভারতে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে ৮৪.৭৪২৫ রুপিতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ডলারের সূচক বেড়ে হয়েছে ১০৬.৫০। এর আগের দিন সোমবার রুপির দর ছিলো ৮৪.৭০৫০।
আর অফশোর চীনা ইউয়ানের দাম কমেও এক বছরে সর্বনিম্ন হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রুপির দরপতন আরও বেশি হতো, কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ করায় তা কিছুটা রোধ করা গেছে গেছে।
রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে বাজার থেকে রুপি তুলে নিয়েছে। ফলে দরপতন কিছুটা থেমেছে। তবে রুপির ধারাবাহিক দরপতনকে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগজনক বলছেন।
হাইকমিশনে আক্রমণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়: নাহিদহাইকমিশনে আক্রমণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়: নাহিদ
ভারতের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা মুদ্রাবাজারে এই অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে রুপির এই দুর্বলতা আরও গভীর হতে পারে।
বাজার বিশ্লেষক ধীরাজ নিম বলেন, ভারতের দুর্বল জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমাতে পারে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক আরবিআইর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমাও রুপির পতনকে ত্বরান্বিত করছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতন রুখতে আরবিআই ব্যাপকভাবে হস্তক্ষেপ করছে মুদ্রাবাজারে।
বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলায় চার পুলিশকে শাস্তি, আটক সাতবাংলাদেশ দূতাবাসে হামলায় চার পুলিশকে শাস্তি, আটক সাত
ভারতে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননায় তিন গ্রেপ্তারভারতে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননায় তিন গ্রেপ্তার
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ ৭০৫ বিলিয়ন ডলার হয়। এর পরই টানা আট সপ্তাহ দরপতন ঘটেছে।
আরবিআইর সবশেষ হিসাবে, গত ২২ নভেম্বর দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১.৩১ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ৬৫৬.৫৮ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ কমার কারণ ডলারের বহিঃপ্রবাহ বেড়ে যাওয়া।
ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কমে ৫.৪ শতাংশ হয়েছে, যা প্রায় দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের বছর একই সময়ে দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.১ শতাংশ।